আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিঃ প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে মেশিনকে বুদ্ধিমান
করে তোলাই হলো আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এটি হলো এক ধরনের
সফটওয়্যার টেকনোলজি, যা রোবট বা কম্পিউটারকে মানুষের মতো কাজ করতে এবং চিন্তা ভাবনা
করাতে সক্ষম করে তোলে। ফলে সেই মেশিনগুলো মানুষের কথা বুঝতে পারা, সিদ্ধান্ত নিতে পারা,
কাউকে দেখে চিনতে পারা ইত্যাদি করতে সক্ষম হয় ।
এক কথায় কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা বা Artificial Intelligence
(AI) হলো বিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে
একটি মেশিনকে প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে মানুষের মতো চিন্তা করতে সক্ষম করে তোলা হয়। উদাহরণ
হিসেবে বলা যায় বুদ্ধিমান রোবট, ফেস রিকগনিশন, নেস্ট (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার
স্টার্টআপগুলির মধ্যে একটি), Siri, ভয়েস রিকগনিশন ইত্যাদির নাম।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনকঃ
কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার জনক বলা হয় আমেরিকান বিজ্ঞানী জন ম্যাকার্থি কে। কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার প্রসারের জন্য, তিনি 1956 সালে একটি
সম্মেলনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উপর একটি প্রজেক্ট উত্থাপন করেছিলেন যার নাম ছিলো ডার্টমাউথ
সামার রিসার্চ প্রজেক্ট। এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিলো ম্যাকার্থিকে কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা প্রসারে সহায়তা করার জন্য আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রতিভা এবং দক্ষতাকে কাছে
টানা।
আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মূল ইতিহাস শুরু
হয় বহু প্রাচীন কাল থেকেই। আজকের এই আধুনিক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে অগ্রগতি তার বীজটি বপন করে গেছেন প্রাচীন দার্শনিকেরা। এই দার্শনিকেরাই মানুষের চিন্তাকে যান্ত্রিক কাজে
রুপ দানের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। সর্বপ্রথম ১৯২০ সালের দিকে “রুশম’স ইউনিভার্সেল
রোবটস” নামে একটি সায়েন্স ফিকশান থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে অনেক বিজ্ঞানী এই বিষয়ে বিভিন্ন সম্মেলনে আলোচনা ও বক্তব্য প্রদান করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা কাজ শুরু করে। কম্পিউটার
আবিষ্কারের পরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষনা পায় অগ্রুগতির এক নতুন ধারা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পথচলা শুরু ১৯৪০ সালে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইেয়র জন্য দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতির
প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই সময় ব্রিটিশ গণিতবিদ অ্যালান টুরিং এবং নিউরোলজিস্ট গ্রে
ওয়াল্টার বুদ্ধিমান মেশিন এবং তার বিভিন্ন সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা দেন। ১৯৪৮ সালের
দিকে ‘টুরিং টেস্ট ও যন্ত্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ নিয়ে কাজ শুরু করেন টুরিং। এই টেস্টের
মূল উদ্দেশ্য ছিল অনুলিপিকরণ পরীক্ষা। এরপর সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে মার্কিন কম্পিউটার
ও কগনিটিভ বিজ্ঞানী জন ম্যাকার্থি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
শব্দটি ব্যবহার করেন। এমনকি, এআই প্রযুক্তির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনিই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির
দুনিয়ায় আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স আজ ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎঃ
প্রায় ষাট বছরের বেশি সময় ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে
বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উন্নত করার কাজ চলছে। গত কয়েক বছরে সেই উন্নতি আমাদের
কাছে আত্মপ্রকাশ করতে শুরু করেছে। সোফিয়া সেই উন্নতিরই একটি নমুনা মাত্র। মানুষের
মতোই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গুলো নিজেদের লক্ষ্য নিজেরা নির্ধারণ করতে পারে, সেই
লক্ষ্যে সফল হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে, অভিজ্ঞতা থেকে ক্রমাগত
শিখতে পারে। আমাদের চেহারাসহ যে কোনো জটিল ইমেজ চিনতে, বুঝতে ও বিশ্লেষণ করতে
পারে। যত সূক্ষ্ম এবং নিখুঁত কাজ হোক, যত বুদ্ধির কাজ হোক, কিংবা পরিশ্রমের কাজ
হোক, সব রকম কাজকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে করানোর চেষ্টা চলছে এবং এরা প্রায়
সকল ক্ষেত্রেই সফল হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমাদের চিন্তাধারা, কাজের গতি, শারীরিক সমস্যা থেকে রোগ সনাক্ত, স্বয়ংক্রিয়
বা অটোমেটেড গাড়ি চালনা, অস্রের সাহায্যে নির্ভুল লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানা আগের চেয়ে বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
সম্পন্ন উন্নত মানের কম্পিউটার সকল বিষয়ের উপর বিশ্লেষণ করে নির্ভুল তথ্য প্রদান করতে সক্ষম হবে
যেটাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ পরিবেশগত সমস্যা, মানবিক সমস্যা সহ আবহাওয়া পরিবর্তন, দারিদ্রতা
দুরীকরণ ইত্যাদি বিষয়ের মতো জটিল সংকট থেকে উত্তরণ পাবে যা পৃথিবীকে অধিকতর বাসযোগ্য
করে তুলবে।
কৃত্রিম
বৃদ্ধিমত্তার প্রকারভেদ/শ্রেণীবিভাগঃ
কৃত্রিম
বৃদ্ধিমত্তাকে বিভিন্নভাবে শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছে। কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে
কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তাকে নিম্মোক্ত উপায়ে শ্রেণিবিভাগ করা যায়ঃ
প্রতিক্রিয়াশীল
মেশিনগুলো ভবিষ্যতের কর্মের জন্য স্মৃতি সঞ্চয় না করে শুধুমাত্র বর্তমান
পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করে এবং সম্ভাব্য সর্বোত্তম ক্রিয়া অনুযায়ী তাদের
প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। উদাহরণঃ আইবিএম এর ডিপ ব্লু সিস্টেম এবং গুগলের
আলফাগো
এই
ধরণের মেশিনগুলো অতীত অভিজ্ঞতা বা অতীতের কিছু তথ্য স্বল্প সময়ের জন্য সংরক্ষণ
করতে পারে এবং সঞ্চয় করা ডেটাগুলোকে সীমিত সময়ের জন্য ব্যবহার করতে পারে। উদাহরণঃ
স্ব-চালিত বা অটোমেটেড গাড়ি এবং চালিত বা অটোমেটেড বিমান
মনের
তত্ত্ব থিওরি অফ মাইন্ড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের আবেগ, বিশ্বাস
এবং মানুষের মতো সামাজিকভাবে যোগাযোগ করতে সক্ষম। যদিও, এই ধরণের AI মেশিন
এখনও তৈরি হয়নি, তবে গবেষকরা এই জাতীয় AI মেশিনগুলো তৈরির জন্য প্রচুর প্রচেষ্টা
এবং উন্নতি করছেন। মনের তত্ত্ব বা থিওরি অফ মাইন্ড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার
মাধ্যমে মেশিন মানুষের মতো আবেগ, অনুভুতি ও বিশ্বাস অর্জন, সামাজিকভাবে যোগাযোগ
এবং সামাজিক হয়ে উঠতে পারে। এই জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মেশিন তৈরির
জন্য প্রচুর প্রচেষ্টা চলছে।
স্ব-সচেতনতা
হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে
রয়েছে মেশিনকে সুপার হিউম্যানের মতো দক্ষ
করে তোলা যাদের নিজেদের বুদ্ধি, সচেতনতা, আবেগ-অনুভুতি এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার
ক্ষমতা থাকবে। এবং অনেক ক্ষেত্রে এরা মানুষের থেকেও স্মার্ট হবে।
১. ন্যারো এআই (Artificial Narrow Intelligence)
: ন্যারো এআই, যাকে
দুর্বল এআইও বলা হয়, একটি সংকীর্ণ কাজের উপর ফোকাস করে এবং এর লিমিট অতিক্রম করতে
পারে না। এটি সেই বর্ণালিতে কগনিটিভ এবিলিটি এবং অগ্রগতির একটি একক উপসেটকে লক্ষ্য
করে কাজ করে। মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিং পদ্ধতির বিকাশ অব্যাহত থাকায় সংকীর্ণ
এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ক্রমশ সাধারণ হয়ে উঠছে। আইবিএম ওয়াটসন
সুপার কম্পিউটার একটি ন্যারো এআই এর
উদাহরণ। এটি কগনিটিভ কম্পিউটিং, মেশিন লার্নিং, তথ্য প্রক্রিয়াকরণ,
প্রশ্নের উত্তর প্রদান এবং প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ কাজে ব্যবহার করা হয়।
ন্যারো এআই-এর অন্যান্য উদাহরণের মধ্যে রয়েছে গুগল ট্রান্সলেট, ইমেজ রিকগনিশন সফটওয়্যার,
স্প্যাম ফিল্টারিং এবং গুগলের Page -ranking algorithm।
২. জেনারেল এআই (Artificial General Intelligence): জেনারেল এআই, শক্তিশালী এআই নামেও পরিচিত। মেশিন বা কম্পিউটার যখন মানুষের মতো কাজ করতে পারবে তখন তাকে বলা হবে জেনারেল এআই। যে কোনও বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ বুঝতে এবং শিখতে পারে যা একজন মানুষ করতে পারে। এটি একটি মেশিনকে বিভিন্ন প্রসঙ্গে জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রয়োগ করার অনুমতি দেয়।
সুপার এআই মানুষের
বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যায় এবং যে কোনো কাজ একজন মানুষের চেয়ে ভালোভাবে সম্পাদন
করতে পারে। সুপার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ধারণাটি মানুষের অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতার
অনুরূপ হয়ে উঠেছে যে এটি কেবল সেগুলি বুঝতে পারে না; এটি আবেগ, চাহিদা, বিশ্বাস
এবং নিজস্ব আকাঙ্ক্ষাও জাগিয়ে তুলতে সক্ষম। এর অস্তিত্ব এখনও অনুমানমূলক। সুপার
এআই-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে চিন্তা করা, ধাঁধা সমাধান করা,
বিচার করা এবং নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
স্মার্ট গাড়িঃ স্বয়ংক্রিয় চালকহীন গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সি প্রযুক্তির
ফলে। এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরন হলো মার্কিন গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা টেসলা। কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এই গাড়ি তার চারপাশের পরিবেশ বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী
সিদ্ধান্ত নিয়ে গাড়ি চালনা করতে পারে। এছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে
লাগিয়ে এই গাড়ি ঘুরতে এবং ম্যাপ ব্যবহারও করতে পারে। টেসলার মতো অ্যামাজন ও ওয়ালমার্টের
তাদের পণ্য গ্রাহকের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার জন্যে ড্রোন ব্যবহার করছে।
চিকিৎসাক্ষেত্রেঃ চিকিৎসাক্ষেত্রে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলছে যেখানে যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার
করে রোগের নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। স্বয়ংক্রিয় এই
প্রক্রিয়ায় মেশিন নিজে থেকেই শেখার ক্ষমতা রাখবে। এইক্ষেত্রে পুরো জিনিসটি
অনেকগুলো বিষয়কে একসাথে সন্নিবেশ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। উদহারনস্বরুপ একজন রোগীর
চিকিৎসা করার জন্য প্রথমে রোগীর সাক্ষাৎকার নিতে হবে তারপর কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা
করা হবে এবং প্রাপ্ত তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে রোগ সনাক্ত করে চিকিৎ প্রদান করা
হবে। বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার উদাহরন হলো ইসিজি, এক্সরে,
সিটি স্ক্যান, ইকোকার্ডিওগ্রাম, এমআরআই ইত্যাদি।
সোশ্যাল মিডিয়াতেঃ বিভিন্ন ধরণের সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের ডিভাইসগুলোতে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিয়ত যে আপডেট আসে সেটা এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI এর ফলেও হচ্ছে। আমরা যখন কোন কিছু লাইক বা শেয়ার করি তখন সেই সম্পর্কিত ডকুমেন্টস গুলো সয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের সামনে চলে আসে যেটাও সম্ভব হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলে।
মিউজিক
ও মিডিয়া: যখন কেউ অনলাইন
ভিডিও প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ভিডিও স্ট্রিমিং করে তখন সে মনে করতে পাএ যে সেই
বিষয়টাকে নিয়ন্ত্রন করছে বা তার নিয়ন্ত্রণে পুরো মিডিয়া চলছে। কিন্তু বাস্তবতা
হলো আমরা যখন কোনো ভিডিও দেখি তখন একজন শিল্পীকে খোঁজার সময় রিলেটেড বা সাজেস্টেড
গান চলে আসে। এভাবেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আমাদের মধ্যে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনলাইন
বিজ্ঞাপনঃ অনলাইন বিজ্ঞাপন কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার একটে অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ সেক্টর। এ ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
শুধু ইন্টারনেট সার্চ যাচাই-বাছাই করে করে তাই নয়, গ্রাহকদের সার্চ কিয়ার্ড বিশ্লেষণ
করে সেই অনুযায়ী তাঁদের সামনে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
স্মার্ট হোম ডিভাইস: নিত্যদিনের ব্যবহার্য স্মার্ট হোম ডিভাইসে ব্যাপকভবে ব্যবহার হচ্ছে এই AI প্রযুক্তি। আমাদের কাজকর্ম ও পছন্দ-অপছন্দ বুঝে এই প্রযুক্তি সহংক্রয়ভাবে নিজের সেটিংস পরিবর্তন করার মাধ্যোমে গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।
নিরাপত্তায়ঃ নিরাপত্তার
ক্ষেত্রে AI প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ড্রোন ছাড়াও নজরদারির কাজে হাজার হাজার সিসি ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত
লক্ষ লক্ষ ডেটা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্লেষণ করা এআই ছাড়া সাধারন মানুষের পক্ষে অসম্ভব।
বিজনেস ম্যানেজমেন্টঃ জনপ্রিয় অনলাইন ই-কমার্সের ক্ষেত্রে ব্যপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য লক্ষ্য কোটি পণ্যের মধ্যে থেকে বেছে বেছে গ্রাহকের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে এই প্রযুক্ত ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের, চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজড আপডেট পাঠাতে থাকে এই প্রযুক্তি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারিতাঃ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের ফলে মানুষের
কাজের গতি যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যে অগ্রগতি তা আমাদের সামনে
স্পষ্ট হয়ে গেছে। নিচে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারিতাগুলো তুলে ধরা হলোঃ
- ·
প্রায়
ভুল-ত্রুটি একটি সিস্টেম
- ·
জালিয়াতি
সনাক্তকরণের কাজে
- ·
মানুষের
জন্য বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ এমন কাজ করার ক্ষেত্রে
- ·
একটানা
কাজ সম্পন্ন করতে
- ·
সিদ্ধান্ত
গ্রহণে
- ·
দ্রুততার
সাথে কাজ করতে
- ·
যৌক্তিকভাবে
চিন্তা এবং যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে
- ·
অটোমেটেড
পরিবহন ব্যবস্থায়
- ·
জ়লবায়ু
পরিবর্তনের ফলে উদ্ধুত সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্র
- ·
রোগীর
সেবা করা
- ·
হোটেল
বা রেস্টুরেন্টে খাবার পরিবেশনের জন্য
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপকারিতা:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে যেমন কিছু অসুবিধাও আছে। যা লক্ষ করার মতো। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অসুবিধাগুলো নিম্নরুপঃ
- ·
কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার ফলে বেকারত্বের হার বাড়ছে
- ·
কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্ত অত্যন্ত ব্যয়বহুল
- ·
কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা বা AI এর উপর মানুষেড় অধিক নির্ভরশীলতার দরূন মানুষের সক্ষমতা দিন দিন
হ্রাস পাচ্ছে
- ·
ভবিষ্যতে
এটি মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে
- ·
AI
সম্পন্ন মেশিনগুলো প্রোগ্রামিং কোড ব্যতীত নিজে নিজে কোন কাজ করতে পারে না
- ·
এটি
মতো বা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না
- ·
AI
মেশিনগুলো মানুষকে প্রোডাক্ট রূপে বিবেচনা করে
- · কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভুল ব্যবহারে ফলে মানব জাতির মারাত্নক ক্ষতি সাধন হতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যত নিয়ে মানুষ অনেক বেশি আশাবাদী। বিশেষজ্ঞরা যেমন
মনে করেন ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের কর্মক্ষেত্রকে আরো বেশী সহজ এবং নির্ভুল
করে তুলতে পারবে তেমনি Artificial
Intelligence এর উন্নয়নের ফলে মানব সভ্যতাকে ঝুকির মধ্যে ফেলতে পারে।