ব্লকচেইন
ব্লকচেইনের
ধারণাটি অনেক পুরনো হলেও বিগত কয়েক বছর বিটকয়েন ও ক্রিপটোকারেন্সির জনপ্রিয়তা
বাড়ার কারণে ইদানীংকালে ব্লকচেইন টেকনোলজি নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে।
কারণ, অধিকাংশ ক্রিপটোকারেন্সি এই ব্লকচেইন টেকনোলজির উপর ভিত্তি করেই কাজ করে।
ব্লকচেইনের সাধারণ অর্থ
হচ্ছে ব্লক দিয়ে তৈরি চেইন। আর চেইন কি বলতে কি বোঝায় তা আমরা সবাই জানি। একই
রকমের উপাদান পাশাপাশি একটির সাথে আরেকটি যুক্ত হয়ে শিকল গঠন করাকেই চেইন বলা হয়।
তাহলে, অনেকগুলি এই রকমের ব্লককে একটির সাথে আরেকটি জোড়া দেওয়ার মাধ্যমে ব্লকের
একটি শিকল তৈরি করাই ব্লকচেইন টার্মটির দ্বারা বোঝানো হয়। আর যে ব্লকগুলির দ্বারা
এই চেইনটি তৈরি হয় সেই ব্লকগুলি মূলত তথ্য সংরক্ষণ করে।
টেকনিক্যালি এর সংজ্ঞা দিতে গেলে বলা যায়,
ব্লকচেইন হচ্ছে একটি বন্টিত লেজার, যা সকলের জন্য উন্মুক্ত। ব্লকচেইনের ব্লকগুলোর
মধ্যে যখন একটি তথ্য প্রবেশ করানো হয়, তখন ঐ তথ্যটিকে মুছে ফেলা রা বা তথ্যটির
কোনো ধরনের পরিবর্তন সাধন করা প্রায় অসম্ভব।
ব্লকচেইনের উপাদানগুলোঃ
এটা জানতে হলে প্রথমে জানতে হবে যে, এই ব্লকগুলোর প্রত্যেকটিতে কি থাকে। সম্পূর্ণ ব্লকচেইনের প্রত্যেকটি ব্লকে মূলত তিনটি জিনিস থাকে-
১) ব্লকটির নিজস্ব তথ্য
২) ব্লকটির নিজের হ্যাশ
এবং
৩) এই ব্লকটির ঠিক পেছনে
যুক্ত থাকা পূর্বের ব্লকটির হ্যাশ।
হ্যাশ হচ্ছে মূলত একটি সনাক্তকারী। প্রত্যেকটি ব্লকের হ্যাশ একেবারেই তার জন্য নিজস্ব এবং প্রত্যেকের জন্য নির্দিষ্ট। অর্থাৎ, দুটি ব্লকের হ্যাশ কখনই একরকম হতে পারবে না। এই বিষয়টি অনেকটা মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্টের মত। দুটি মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট যেমন কখনই একই হওয়া সম্ভব না, তেমনি দুটি ব্লকের হ্যাশও কখনো মিলবে না। এই হ্যাশগুলি উৎপন্ন হয় প্রত্যেকটি ব্লকে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী। অর্থাৎ, একটি ব্লকের তথ্য যদি কোনোরকম পরিবর্তন করা হয়, তাহলে ঐ ব্লকটির হ্যাশও পরিবর্তিত হয়ে যাবে।
এ কারণেই প্রত্যেকটি ব্লকে তার আগের
ব্লকের হ্যাশও সংরক্ষণ করা থাকে। প্রত্যেকটি ব্লক যদি তার আগে যুক্ত থাকা হ্যাশটির
সন্ধান রাখে, তাহলে কোনো ব্লকের তথ্য কেউ ইচ্ছামত পরিবর্তন করে ফেলতে পারবে না।
তাই ব্লকচেইনে প্রবেশ করা প্রত্যেকটি তথ্য মুছে ফেলা বা পরিবর্তন করা প্রায়
অসম্ভব। কারণ, এক্ষেত্রে যদি আপনি একটি ব্লকে থাকা তথ্য পরিবর্তন করতে চান, তাহলে
আপনাকে ঐ ব্লকটির সাথে সাথে তার পূর্বের সবগুলো ব্লকের তথ্য পরিবর্তন করতে হবে।
নয়ত সম্পূর্ণ ব্লকচেইনটি কাজ করা বন্ধ করে দেবে।
ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে
এতক্ষণে নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন যে,
ব্লকচেইন টেকনোলজি কিভাবে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। কিন্তু ব্লকচেইন নিরাপদ
হওয়ার আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে, এটির বন্টিত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। ব্লকচেইন মূলত একটি
পেয়ার-টু-পেয়ার নেটওয়ার্ক তৈরি করে যেখানে ব্লকচেইনের প্রত্যেকটি ব্লকের তথ্য
ইন্টারনেট সংযোগ থাকা যেকোনো ব্যাক্তি ব্লকগুলোকে শনাক্ত করতে পারে। যখন কোনো নতুন
একজন এই ব্লকচেইন নেটওয়ার্কে নিবন্ধন করে, তখন সে তার সামনের এবং তার পূর্বের সব
ব্লকগুলোর কপি পেয়ে যায় এবং সে প্রত্যেকটি ব্লককে শনাক্ত করে এবং নিশ্চিত করে যে,
ব্লকচেইনে থাকা প্রত্যেকটি তথ্য এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে। ব্লকচেইনের প্রত্যেকটি ব্লক
যত বেশি বার শনাক্ত করা হয়, তথ্যগুলি তত বেশি অপরিবর্তনীয় হয়ে ওঠে। মুলত এভাবেই
ব্লকচেইন টেকনোলজি কাজ করে থাকে।
ক্রিপটোকারেন্সি
আপনি কি জানেন প্রত্যেকটি ক্রিপটোকারেন্সি
ট্র্যানজেকশন প্রোসেস করতে সাধারণত কমপক্ষে ১০ মিনিট সময় লাগে? এর কারণ হল এই
ব্লকচেইন। ক্রিপটোকারেন্সি ট্র্যানজেকশনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার চিন্তা করে
প্রত্যেকটি নতুন ব্লক প্রতি ১০ মিনিট পর পর তৈরি করা হয়। তাই একটি ট্র্যানজেকশন
রিকুয়েস্ট করলে সেই ট্র্যানজেকশনটি নিয়ে নতুন একটি ব্লক তৈরি করতে কমপক্ষে ১০
মিনিট অপেক্ষা করতে হয়।
ব্লকচেইনের সুবিধাঃ
ব্লকচেইন প্রযুক্তির অনেক বেশি সুবিধার জন্যেই এটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে যাচ্ছে। ব্লকচেইন প্রযুক্তির সুবিধাগুলো নিম্নরুপঃ
·
ব্লকচেইন টেকনোলজি প্রধান সুবিধা হলো যে কেউ চাইলে এইখানে অ্যাক্সেস
করতে পারে, ব্লকচেইন প্রযুক্তিত ব্যবহার এবং মান উন্নয়নের কাজ করতে পারে।
·
প্রযুক্তি বিকেন্দ্রীভূত পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষণ করতে ব্যবহার করা হয়
যাতে প্রত্যেকে শূন্য-জ্ঞান প্রমাণ ব্যবহার করে তথ্যের সঠিকতা যাচাই করতে পারে যার
মাধ্যমে একটি পক্ষ ডেটা সম্পর্কে কিছু প্রকাশ না করে অন্য পক্ষের কাছে ডেটার
সঠিকতা প্রমাণ করে।
·
ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংরক্ষিত রেকর্ড হারানোর সম্ভাবনা
একদমই নেই কারণ ডুপ্লিকেট কপি প্রতিটি স্থানীয় নোডে সংরক্ষণ করা হয়।
·
ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে কোনো একক পক্ষের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এটি অনেক
বিশ্বস্ত একটি প্রযুক্তি।
·
ব্লকচেইন টেকনোলজিতে প্রতিটি লেনদেন পরস্পর-সংযুক্ত একটি ব্লকে
সঞ্চয় করার জন্য আধুকিক হ্যাশিং কৌশল ব্যবহার করা হয় যেটি অনেক বেশি নিরাপদ হয়ে
থাকে। এই টেকনোলজি লেনদেন সংরক্ষণের জন্য SHA 256 (হ্যাশিং অ্যালগরিদম) ব্যবহার করে।
·
বিকেন্দ্রীভূত অর্থাৎ অনেকগুলো ব্লক একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকার
কারনে ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে ডেটার সাথে টেম্পার করা যায় না। যদি কেউ একটি ডেটা
টেম্পার বা পরিবর্তন করে তবে তার ফলে অন্য সকল নোডে পরিবর্তন হবে। এই জন্য যেকোন
ধরণের জালিয়াতি এই প্রযুক্ত ব্যবহার করে রোধ করা সম্ভব বলে এই প্রযুক্তিকে
টেম্পার-প্রুফ প্রযুক্তি বলা যেতে পারে।
·
ব্লকচেইন লেনদেনের জন্য স্বচ্ছ প্রযুক্তি যেখানে নেটওয়ার্কের সমস্ত
নোডের নেটওয়ার্কে লেনদেনের একটি অনুলিপি বিদ্যমান থাকে ফলে লেনদেনের ক্ষেত্রে
কোনো পরিবর্তন অন্য নোডগুলিতে থেকে খুব সহজেই অবলোকন করা যায়।
·
ব্লকচেইনে লেনদেনের ক্ষেত্রে কোন তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ না থাকায়
সিস্টেমটি ব্যবসার জন্য খরচ কমিয়ে দেয় এবং অন্য ব্যবহারকারিদের মধ্যে বিশ্বাস
তৈরি করে।
ব্লকচেইনের অসুবিধাঃ
অন্যান্য
প্রযুক্তির মতো ব্লকচেইনের কিছু অসুবিধা রয়েছে। ব্লকচেইন প্রযুক্তির অসুবিধাগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ
·
ব্লকচেইন বাস্তবায়ন অনেক
বেশি ব্যয়বহুল ফলে কেউ চাইলেই এটি ব্যবহার শকরতে পারে না।
·
ব্লকচেইন খনির খামারগুলিতে প্রচুর সংখ্যক ডিভাইস দরকার হয় যেটা পরিচালনার জন্য
অনেক বেশি পাওয়ারের প্রয়োজন হয়
·
যদি একজন ব্যবহারকারী খনির
ক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তবে তার পুরো ব্লকচেইন পরিবর্তন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
·
ব্যবহারকারীর নিজস্ব
ও্য়ালেট (একধরণের ইলেক্ট্রনিক ব্যাগ যেখানে প্রয়োজনী তথ্য সংরক্ষন করা থাকে)
নিজেকেই সংরক্ষণ করতে হয় এবং কোন কারণে এটি হ্যাক হয়ে গেলে গ্রাহকের
ব্যক্তিগত সকল তথ্য চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
·
যদিও এটি ১৯৯১সালে আবিষ্কৃত হয়ছে তথাপি এটি জটিল ও ব্যায়বহুল হওয়ার
কারনে এর ব্যবহার আশানুরুপ হারে বৃদ্ধি পাইনি
·
ব্লকচেইন ডেটা অপরিবর্তনীয় হওয়ার কারণে কিছু ক্ষেত্রে এটি একটি অসুবিধা তৈরি করতে পারে
১) ব্লকচেইন কি?
ব্লকচেইনের
সাধারণ অর্থ হচ্ছে ব্লক দিয়ে তৈরি চেইন। আর চেইন কি বলতে কি বোঝায় তা আমরা সবাই
জানি। একই রকমের উপাদান পাশাপাশি একটির সাথে আরেকটি যুক্ত হয়ে শিকল গঠন করাকেই
চেইন বলা হয়। তাহলে, অনেকগুলি এই রকমের ব্লককে একটির সাথে আরেকটি জোড়া দেওয়ার
মাধ্যমে ব্লকের একটি শিকল তৈরি করাই ব্লকচেইন টার্মটির দ্বারা বোঝানো হয়।
২) ব্লকচেইনের উপাদানগুলো কি কি?
ব্লকচেইনের প্রত্যেকটি ব্লকে মূলত তিনটি
জিনিস থাকে-
১) ব্লকটির নিজস্ব তথ্য
২) ব্লকটির নিজের হ্যাশ
এবং
৩) এই ব্লকটির ঠিক পেছনে
যুক্ত থাকা পূর্বের ব্লকটির হ্যাশ।
৩) হ্যাশিং কি?
হ্যাশিং এমন এক
ধরণের টেকনিক যেখানে বিভিন্ন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে মুল ডেটাকে একটি কোডে
রুপান্তরিত করা হয়। কয়েকটি জনপ্রিয় হ্যাশিং অ্যালগরিদম নিচে দেওয়া হলো MD5, SHA-1, SHA-2, NTLM, and LANMAN.
৪) ব্লকচেইনে কোন ধরণের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়?
ব্লকচেইন মূলত একটি পেয়ার-টু-পেয়ার
নেটওয়ার্ক তৈরি করে যেখানে ব্লকচেইনের প্রত্যেকটি ব্লকের তথ্য ইন্টারনেট সংযোগ
থাকা যেকোনো ব্যাক্তি ব্লকগুলোকে শনাক্ত করতে পারে।
৫) ক্রিপটোকারেন্সি ট্র্যানজেকশন প্রোসেস করতে সাধারণত কত সময় লাগে?
ক্রিপটোকারেন্সি
ট্র্যানজেকশন প্রোসেস করতে সাধারণত কমপক্ষে ১০ মিনিট সময় লাগে
৬) ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে টেম্পার করা যায়?
বিকেন্দ্রীভূত
অর্থাৎ অনেকগুলো ব্লক একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকার কারনে ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে
ডেটার সাথে টেম্পার করা যায় না। যদি কেউ একটি ডেটা টেম্পার বা পরিবর্তন করে তবে
তার ফলে অন্য সকল নোডে পরিবর্তন হবে। এই জন্য যেকোন ধরণের জালিয়াতি এই প্রযুক্ত
ব্যবহার
৭) ব্লকচেইন সর্বপ্রথম কখন চালু হয়?
দুইজন গণিতবিদ স্টুয়ার্ট
হাবের এবং উইলিয়াম স্কট স্টর্নেটা১৯৯১ সালে ব্লকচেইন
আবিষ্কার করেন।
৮) ব্লকচেইনের সুবিধাগুলো কি কি?
ব্লকচেইন প্রযুক্তির বিশেষ সুবিধার জন্যেই এটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে যাচ্ছে। ব্লকচেইন প্রযুক্তির সুবিধাগুলোঃ-
·
ব্লকচেইন টেকনোলজি প্রধান সুবিধা হলো যে কেউ চাইলে এইখানে অ্যাক্সেস
করতে পারে, ব্লকচেইন প্রযুক্তিত ব্যবহার এবং মান উন্নয়নের কাজ করতে পারে
·
ডেটার টেম্পার প্রায় অসম্ভব
·
ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংরক্ষিত রেকর্ড হারানোর সম্ভাবনা
একদমই নেই কারণ ডুপ্লিকেট কপি প্রতিটি স্থানীয় নোডে সংরক্ষণ করা হয়।
·
ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে কোনো একক পক্ষের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এটি অনেক
বিশ্বস্ত একটি প্রযুক্তি।
·
ব্লকচেইন টেকনোলজিতে প্রতিটি লেনদেন পরস্পর-সংযুক্ত একটি ব্লকে
সঞ্চয় করার জন্য আধুকিক হ্যাশিং কৌশল ব্যবহার করা হয় যেটি অনেক বেশি নিরাপদ হয়ে
থাকে।
·
যদি কেউ একটি ডেটা টেম্পার বা পরিবর্তন করে তবে তার ফলে অন্য সকল
নোডে পরিবর্তন হবে। এই জন্য যেকোন ধরণের জালিয়াতি এই প্রযুক্ত ব্যবহার করে রোধ
করা সম্ভব
·
ব্লকচেইন লেনদেনের জন্য স্বচ্ছ প্রযুক্তি
·
ব্লকচেইনে লেনদেনের ক্ষেত্রে কোন তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ থাকে না।
৯) ব্লকচেইনের অসুবিধাগুলো কি কি?
অন্যান্য
প্রযুক্তির মতো ব্লকচেইনের কিছু অসুবিধা রয়েছে। ব্লকচেইন প্রযুক্তির অসুবিধাগুলো নিম্নরুপঃ
·
ব্লকচেইন বাস্তবায়ন অনেক
বেশি ব্যয়বহুল ফলে কেউ চাইলেই এটি ব্যবহার শকরতে পারে না।
·
ব্লকচেইন খনির খামারগুলিতে প্রচুর সংখ্যক ডিভাইস দরকার হয়
·
ব্লকচেইন খনির
পরিচালনার জন্য অনেক বেশি পাওয়ারের প্রয়োজন হয়
·
যদি একজন ব্যবহারকারী খনির
ক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তবে তার পুরো ব্লকচেইন পরিবর্তন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
·
ব্যবহারকারীর নিজস্ব
ও্য়ালেট নিজেকেই সংরক্ষণ করতে হয়
·
কোন কারণে এটি হ্যাক হয়ে গেলে গ্রাহকের ব্যক্তিগত সকল তথ্য চুরি হয়ে
যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
·
এটি জটিল ও ব্যায়বহুল
১০) ব্লকচেইন বাংলাদেশে চালু কিনা?
ব্লকচেইন প্রযুক্তি বাংলাদেশে এখনও সেইভাবে চালু না হলেও কিছু ব্যাংক তাদের লেটার অব ক্রেডিটে ব্লকচেইন নিয়ে কাজ করেছে ।
১১) ই-মুদ্রা বা ডিজিটাল মুদ্রা কি?
যে সকল মুদ্রা ডিজিটালি পাওয়া যায় সেইগুলোই ডিজিটাল মুদ্রা। ভার্চুয়াল মুদ্রা এবং ক্রিপ্টোকারেনসি এর একটি উদাহরণ। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রিপ্টোকারেনসি হলোঃ
·
Bitcoin (BTC)
·
Ethereum (ETH)
·
Biance Coin (BNB)
·
Tether (USDT)
·
Cardano (ADT)
১২) ব্লকচেইন কিভাবে কাজ
করে?
ব্লকচেইন মূলত একটি পেয়ার-টু-পেয়ার
নেটওয়ার্ক তৈরি করে যেখানে ব্লকচেইনের প্রত্যেকটি ব্লকের তথ্য ইন্টারনেট সংযোগ
থাকা যেকোনো ব্যাক্তি ব্লকগুলোকে শনাক্ত করতে পারে। যখন কোনো নতুন একজন এই
ব্লকচেইন নেটওয়ার্কে নিবন্ধন করে, তখন সে তার সামনের এবং তার পূর্বের সব ব্লকগুলোর
কপি পেয়ে যায় এবং সে প্রত্যেকটি ব্লককে শনাক্ত করে এবং নিশ্চিত করে যে, ব্লকচেইনে
থাকা প্রত্যেকটি তথ্য এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে। ব্লকচেইনের প্রত্যেকটি ব্লক যত বেশি
বার শনাক্ত করা হয়, তথ্যগুলি তত বেশি অপরিবর্তনীয় হয়ে ওঠে। মুলত এভাবেই ব্লকচেইন
টেকনোলজি কাজ করে থাকে।
0 comments:
Post a Comment